ঢাকা,বুধবার, ১ মে ২০২৪

ঈদগাঁওতে শিক্ষাঙ্গনে এককালীন ফিস আদায় : উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল

স্টাফ রিপোর্টার, ঈদগাঁও :: করোনা দূর্যোগে কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এককালীন মাসিক ফিস আদায় করায় উদ্বিগ হয়ে পড়েন অভিভাবক মহল।ফলে অনেক অভিভাবকেরা বাড়তি চাপ আর টেনশনে ভোগছেন । করোনাকালীন সময়ে আর্থিক সংকটে পড়া অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের স্কুলের ফিস নিয়ে দারুনভাবে বেকায়দায়ও পড়েছেন।

নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের কাছ থেকে মাসিক বেতনের ফিস কড়ায়-গন্ডায় আদায় করে নিচ্ছে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।বিগত ১৮ মার্চ থেকে জেলা সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর সব শিক্ষাঙ্গন বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবকরা এককালীন এগার মাসের ফিস দিতে গিয়ে অনেকটা হিমশিম খাচ্ছে। বাড়তি চাপ আর টেনশনে ভোগছেন বহু শিক্ষাথীরা। ১১ মাসে ২২শত টাকা এবং এসাইন্ডমেন্ট বাবদ দুইশত টাকা দিতে হচ্ছে তাদেরকে। চলমান সময়ে একদিকে দ্রব্য মূল্যের দ্বিগুন দাম, অন্যদিকে এককালীন এত টাকা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন অভিভাবকরা।

ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের এক শিক্ষার্থীর মামা মারুফ জানান, এতিম হিসেবে ২৪শত টাকার মধ্য ১২শত টাকা প্রদান করতে হচ্ছে ভাগ্নে আরিফকে।

কজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, ছেলেমেয়ে দের বিদ্যালয়ের মাসিক ও পরীক্ষা ফিস বাবদ এককালীন ২৪শত টাকা গুনতে হচ্ছে। অনেকে নিরুপায় হয়ে হতাশ আর বিপাকে পড়েছেন। অনেকে আবার এতো টাকা একসাথে পরিশোধ করতে না পেরে ঝড়ে পড়ছে শিক্ষা জীবন থেকে।

শিক্ষার্থী রিয়াদ জানিয়েছেন, স্কুলে মাসিক আর পরীক্ষা ফিস বাবদ ২৪শত টাকার মধ্যে প্রথম দফে ১৯শত টাকা প্রদান করে। বাকী টাকা কিছু দিনের মধ্য পরিশোধ করতে হবে অবশ্যই।

ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সরওয়ার কামাল এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেননা বলে জানান এ প্রতিবেদককে।

ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন জানান, শিক্ষার্থীদেরকে এককালীন বেতন প্রদান করার লক্ষ্য আদেশ আসেনি। তবে সামর্থ্য অনুযায়ী আদায়  করা হচ্ছে মাসিক ফি।

পাঠকের মতামত: